প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পেয়ে প্রায় ১৩ বছরে ও দেখা হলো না পুঙ্গ শিল্পীর
নিজেস্ব প্রতিবেদক :
২০০৫ সালে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর আর্ন্তজাতিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পুঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পেয়ে শত চেষ্টা করে দেখা না পেয়ে আজ ও আশায় বুক বেদে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ।
গতকাল বিকেলে ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদচর্চার প্রতিবেদক কে তার ঘুরে বেড়ানোর কথা গুলি বলতে গিয়ে যেন নিজের আবেগকে ধরে রাখতে পারেনি । পিরোজপুর জেলার টোনা গ্রামের মৃত কুদ্দুছ আলীর হাং এর বড় ছেলে মোহাম্মদ জাকির হোসেন হাং । শৈশব কাল থেকে গান এর প্রতি মনোযোগী ছিল ।
তাই দ্বিতীয় শ্রেনিতে পড়ার সময় শিল্পী বাবা কুদ্দুছ আলীর হাতেই গান শিখার হাতে খরি । ছোট বেলা লেখাপড়ার পাশাপাশি গান গেয়ে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগান । ফলে এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্টানে তাকে গান পরিবেশনের জন্য মানুষের আগ্রহ দেখা যায় । ৫ম শ্রেনিতে পড়ার সময় একটি দুর্ঘটনায় তার ডান হাতটি কেটে ফেলতে হয় ।
তবু ও লেখা পড়া করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক গন্ডি পেরিয়ে একটু ভাল শিক্ষা জন্য ঢাকায় কবি নজরুল সরকারি কলেজে এইচ এস সিতে ভর্তি হন পুঙ্গ প্রতিভাবামান এ শিল্পী ।গরিব পরিবারের জাকির হোসেনের এইচ এস সি ফাইনাল পরীক্ষার আগে বাবা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তার লেখা পড়ার ইতি টানতে হয় ।
লেখাপড়া শেষ হলেও বাবার অনুপ্রেরনায় এবং নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাতে গান দিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মন জয় করার জন্য ঢাকার বাফার ওয়াইজঘাট শাখায় ভর্তি হয়ে সার্টিফিকেট র্কোস সম্পন্ন করেন ।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকা থেকে সঙ্গীতের উপর বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষন নেন ও একাডেমির তালিকা ভুক্ত হন ।
তখন সরকারি অর্থায়নে একটি মিশ্র আ্যলবাম প্রকাশিত হলে স্বপ্ন দেখতে থাকে নিজেকে মেলে ধরার । ধারাবাহিক ভাবে গান করে জান তিনি ।২০০৫ সালে লোকসঙ্গীতে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর আর্ন্তজাতিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়ে বতর্মান প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহন করেন পুঙ্গ সঙ্গগীত শিল্পী জাকির হোসেন ।
পুঙ্গ এ শিল্পী জানান,পুরস্কার নেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন দেখা করো তোমার জন্য কিছু একটা করবো ।কিন্তু সে কথা বলার পর শত চেষ্টা করে আজ ও দেখা না পাওয়া এখন ও আশায় বুক বেদে রেখেছেন । পুরস্কার জয় করার পর নিজেকে আরও প্রসার করার জন্য নিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের কাছ থেকে প্রশিক্ষন ।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পগোষ্টী কেন্দ্রীয় শাখায় গন সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন এখন সেখানে আছেন বলে জানান পুঙ্গ জাকির হোসেন । তবে পুঙ্গ এ শিল্পীর মনের দুঃখ হলো বতর্মান প্রধানমন্ত্রীর সাথে শতশত মানুষ দেখা করে নিজের মনের কথা বলতে পারে ।কিন্তু সে উনার আমন্ত্রন পেয়ে প্রায় (১৩) তের বছর চলছে শত চেষ্টা করে দেখা করতে পারিনি ।
জানি না,এতদিন হয়ে গেল উনার মনে আছে কি না ।যদি মনে নাও থাকে তাহলে আপনাদের মাধ্যমে উনার (প্রধানমন্ত্রী ) সাথে এক জন পুঙ্গ শিল্পী হিসেবে দেখা করার সুযোগ হলে নিজেকে ধন্য মনে করব । পুঙ্গ জাকির হোসেন বতর্মানের এক মেয়ে ,স্রী কে নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ বন্দড়াকপাড়া বসবাস করছেন। তিনি জানান,যদি সকলের সহযোগিতা পান তাহলে বাংলার লোকসংস্কৃতিকে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস ব্যক্ত করেন ।